ঢাকা,মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

চকরিয়া পৌরসভার ৪৫০০ পরিবার মাঝে বিশ্বখাদ্য সংস্থার চাউল বিতরণ 

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  বিশ্বখাদ্য সংস্থার সহযোগিতায় বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে জীবিকা হারানো চকরিয়া পৌরসভার ৪৫০০ পরিবার পাচ্ছেন ৩০ কেজি করে চাউল। গতকাল রোববার ২৩ আগস্ট থেকে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে চাউল বিতরণ শুরু হয়েছে। এদিন চকরিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের উপকারভোগী পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে চাউল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।

অপরদিকে একইদিন চকরিয়া পৌরসভা মিলনায়তনে চাউল বিতরণ উদ্বোধন করেন মেয়র আলমগীর চৌধুরী। পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাউল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, এমপির একান্ত সচিব আমিন চৌধুরী, জালাল উদ্দিন মানিক, স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী।

রোববার সকালে চকরিয়া পৌরসভা মিলনায়তনে চাউল বিতরণ উদ্বোধনকালে মেয়র আলমগীর চৌধুরী ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসএআরপিভি’ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত, পৌরসভার সচিব মাস-উদ মোর্শেদ, প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব, এসএআরপিভি’র ত্রাণ সমন্বয়ক ইয়াছমিন সুলতানা, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর মকছুদুল হক মধু, নারী কাউন্সিলর রাশেদা বেগম প্রমুখ।

জানা গেছে, কোভিড- ১৯ সংক্রমন প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডব্লিউিএফপি কর্তৃক স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করে কর্মসূচীটি বাস্তবায়ন করছে চকরিয়ার বেসরকারী সংস্থা এসএআরপিভি (সার্ভ বাংলাদেশ)। কার্যক্রমটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছেন চকরিয়া পেকুয়া আসনের এমপি জাফর আলম।

এসএআরপিভি’র আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত বলেন, কর্মসুচীর আওতায় করোনা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় নিম্ন আয়ের চকরিয়া উপজেলার সাড়ে ১৬ হাজার পরিবারকে বিতরণের মাধ্যমে এ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচীর আওতায় এসেছে চকরিয়া উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৮ ইউনিয়নের ১৬ হাজার ৫শত পরিবার। কর্মসূচীতে চার মাসে চার কিস্তিতে চকরিয়া ্উপজেলার ১৬ হাজার ৫শত পরিবারের মধ্যে প্রতি পরিবার পেয়েছে ৬০ কেজি ভাল মানের চাল, ৫ কেজি হাই এনার্জি বিস্কুট ও নগদ ৪ হাজার ৫শত টাকা। #

পাঠকের মতামত: